স্বদেশ ডেস্ক: ইসরায়েলের ইতিহাসে বেনজির ঘটনা। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এবার বিদ্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেয়াহু। ঘুষ নেওয়া, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের পৃথক পৃথক অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানেয়াহু। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের পর ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট এমনই অভিযোগ এনেছেন নেতানেয়াহুর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, দেশের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ডলার মূল্যের সামগ্রী উপহার হিসাবে নিয়েছেন নেতানেয়াহু। তার বদলে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাইয়ের দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি, ইসরায়েলের একটি সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশে। এরপর আইন মন্ত্রকের নজরে আসে নেতানেয়াহুর দুর্নীতির বিষয়টি। অ্যাটর্নি জেনারেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এটি ইসরায়েলের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য খুবই দুঃখের মুহূর্ত। এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়। মামলা চলাকালীন আইনজীবীরা মামলা বন্ধ করারও চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রধামন্ত্রীর পদে বসেন নেতানেয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেষ হয়ে যেতে পারে রাজনৈতিক জীবন। এখনই তাঁকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের কারাবাস হতে পারে নেতানেয়াহুর। উল্লেখ্য, এবছর ৩০ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের দিন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় পরম বন্ধু দেশ ইসরায়েলে। সে দেশে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনে ব্যর্থ হন নেতানেয়াহু। পুনরায় ভোট হয় ইহুদি দেশটিতে। এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল নেতানেয়াহুর বিরুদ্ধে, যা দেশের ইতিহাসে সত্যিই নজিরবিহীন ঘটনা….!